প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত পোনাহুড়া ইসলামিয়া নেছারিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে পটুয়াখালী জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
অধ্যক্ষের বাণী
সর্বময় পালন কর্তা মহান স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালার প্রতি সকল প্রকার প্রার্থনা ও ইবাদত নিবেদন করছি। সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক জাতির পথ প্রদর্শক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর আনীত জীবন বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা ও বায়াত গ্রহন করছি। সকল শহীদ, মহামানব ও স্বাধীন বাংলায় যাদের অবদান তাদের মাগফেরাত কামনা করছি। মাদরাসা শিক্ষাকে এক সময় গুনী ও আদর্শ মানব গড়ার শিক্ষা মনে করা হতো। কালক্রমে ব্রিটিশ পরাধীনতার চাপে পদ দলিত হয়ে মুসলমান পিতার নাম বাদ দিয়ে শত্রুর গুনকীর্তন করছে। ইংরেজরা মুসলিম কালচার কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের কেরানী বা গোড়া বানানোর পথ দেখিয়ে শিক্ষানীতি মানতে বাধ্য করেছে। আল বেরুনী, ওমর খৈয়াম, আলী, ইবনে সীনা, শেখ সাদী দূরে থাক, মুসলিম কালচারের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ। ব্রিটিশ কুটনীতিতে মুসলমান হাজারো ভাগে বিভক্ত। আমরা বাঙ্গালী মুসলমানরা আমাদের গৌরব ভুলে বিদেশি কালচারে নিজকে হারিয়ে ফেলছি। “ময়ূরের নাচে কাকের চলন বিসর্জন” দিয়ে ১লা জানুয়ারী, এপ্রিলফুল, বড়দিন নিয়ে মেতে উঠি। আমাদের এ দূরাবস্থা হতে পরিত্রান পাওয়ার একমাত্র উপায় জাতীয় ঐক্য এবং সুশিক্ষা। আল্লাহর লাখো শোকর বর্তমান মাদরাসা শিক্ষা আধুনিক ও যুগোপযোগী। বর্তমানে একই সিলেবাস হওয়া সত্ত্বেও ব্রিটিশের মুরিদ গন মাদরাসা শিক্ষাকে অসাড় প্রমান করতে চাচ্ছে। আর এটা সত্য যে, “মিষ্টি অন্ধকারেও মিষ্টি”। সুতরাং আর নয় দলাদলি। বাঙ্গালী মুসলমান হিসেবে দেশ, ভাষা, জাতীয়তা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একঝাক মেধাবী তরুন গঠন করা আমাদের লক্ষ্য। যারা হবে অহিংস সত্যিকার মানুষ। আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা, গভীর রাত্রে চোখের জলের বিনিময়ে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবে এবং মানব ও ইসলামের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবে। গৌরবময় হবে গোটা জাতি ও দেশ। আমীন। ছুম্মা আমীন।। সকল বিদেহী আত্মার শান্তি হোক।
সভাপতির বাণী
মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলাধীন কালিশুরী ইউনিয়নস্থ পোনাহুড়া গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন পোনাহুড়া ইসলামিয়া নেছারিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ফাজিল (ডিগ্রী) শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!